মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং শুক্রবার ফোনালাপ করেছেন। তিন মাস পর দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এই কথোপকথনে তারা আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় মুখোমুখি বৈঠকে সম্মত হন। এছাড়া ট্রাম্প আগামী বছর চীন সফরের পরিকল্পনার কথাও জানান।
ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, আলোচনায় বাণিজ্য, ফেন্টানিল, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং টিকটক চুক্তির প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। তিনি ফোনালাপকে “খুব ভালো” বলে অভিহিত করেন এবং আসন্ন এপেক সম্মেলনে আবারও বৈঠকের ইঙ্গিত দেন।
টিকটক নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের অবস্থান স্পষ্ট থাকলেও ফোনালাপে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট অগ্রগতি দেখা যায়নি। কংগ্রেস গত বছর আইন পাস করে বলেছে, টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্সকে তাদের মার্কিন শাখা বিক্রি করতে হবে, না হলে অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করা হবে।
ট্রাম্প যদিও এখনো আইন কার্যকরের পথে এগোননি। তিনি আশঙ্কা করছেন, সরাসরি নিষেধাজ্ঞা দিলে কোটি কোটি মার্কিন ব্যবহারকারীর ক্ষোভ তৈরি হতে পারে, যা রাজনৈতিক যোগাযোগেও প্রভাব ফেলবে। নিজেই এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমি টিকটক পছন্দ করি; এটি আমাকে নির্বাচিত হতে সহায়তা করেছে।”
চীনা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, টিকটক বিষয়ে শি স্পষ্ট করেছেন যে এটি ব্যবসায়িক আলোচনার মাধ্যমে বাজারের নিয়ম মেনে সমাধান করা উচিত। তিনি আশা প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্র চীনা কোম্পানিগুলোর জন্য ন্যায্য ও বৈষম্যহীন পরিবেশ নিশ্চিত করবে।
সাম্প্রতিক সময়ে চীন রাশিয়া ও ভারতের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে সামরিক কুচকাওয়াজে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এর মধ্যে ট্রাম্প-শির এই ফোনালাপ দুই পরাশক্তির সম্পর্কের নতুন মাত্রা তৈরি করবে কি না তা এখনো সময়ই বলে দেবে।