Monday, June 23, 2025
Homeখেলাধুলাক্রিকেটলাহোরে পাকিস্তান সিরিজে চাপমুক্ত খেলতে পারবে কি টিম বাংলাদেশ?

লাহোরে পাকিস্তান সিরিজে চাপমুক্ত খেলতে পারবে কি টিম বাংলাদেশ?

লাহোর, ২৬ মে, ২০২৫ (ডেপ্রবা) : পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে তিন ভাগে দুবাই থেকে লাহোরে পৌঁছেছে টিম বাংলাদেশ। মঙ্গলবার রাতেই গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুশীলনে নামবে লিটনরা। তবে আরব আমিরাতের বিপক্ষে ব্যর্থতার পরে লাহোরে কি চাপমুক্ত ক্রিকেট খেলতে পারবে বাংলাদেশ?

আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুর্বল প্রতিপক্ষ হয়েও সিরিজ হারার কারণে খেলোয়াড়রা যেমন ব্যাকফুটে, তেমনি হতাশ টাইগারভক্তরাও। সে ধাক্কা সামলে এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ভিন্ন কিছু করে দেখানোর প্রত্যাশা রাখছে দল।

নতুন অধিনায়ক লিটন কুমার দাসের নেতৃত্বের প্রশংসা থাকলেও সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার চ্যালেঞ্জটা এবার আরও বেশি। ভাইস ক্যাপ্টেন শেখ মেহেদী এবং তরুণ ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়—তিনজনই আমিরাত সফরে ব্যর্থ ছিলেন। তাই এবার দলীয় সমন্বয় এবং পারফরম্যান্সের দিকেই থাকবে নজর।

এই সিরিজে বাংলাদেশের সম্ভাব্য বড় হাতিয়ার হতে পারেন রিশাদ হোসেন। কারণ তিনি পিএসএলে লাহোর কালান্দার্সের হয়ে খেলেছেন, ফলে এই মাঠের কন্ডিশন তার ভালো করেই জানা। বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারে, বিশেষ করে রাতে শিশির, ব্যাটিং-সাপোর্ট এবং পিচ কন্ডিশন নিয়ে।

বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ফর্ম। তারা ঘরোয়া লিগ পিএসএলে নিয়মিত খেলার কারণে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের কন্ডিশনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে। তাই তিন ম্যাচের সিরিজে আপার হ্যান্ড থাকবে পাকিস্তানের পক্ষেই।

আরও পড়ুন:

এদিকে রিশাদ ছাড়াও মিরাজ ও অন্যান্য স্পিনাররা কীভাবে বল গ্রিপ করতে পারছে, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। আরব আমিরাতে অতিরিক্ত শিশিরে বল গ্রিপে সমস্যা হয়েছিল, তবে লাহোরে সেই পরিস্থিতি কতটা ভিন্ন তা মাঠে প্রমাণ দিতে হবে।

বাংলাদেশের জাতীয় দলের কোচ ফিল সিমন্স এবং অধিনায়ক লিটন কুমার দাস নিশ্চয়ই এই পরিস্থিতির গুরুত্ব বোঝেন। তারা চাইবেন পিএসএলে খেলার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে রিশাদ হোসেনের কাছ থেকে কন্ডিশনের মূল্যবান ইনপুট নিতে।

এই সিরিজের তিনটি ম্যাচ ২৮ মে, ৩০ মে ও ১ জুন অনুষ্ঠিত হবে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশ যদি দলগতভাবে এক হয়ে খেলে, তবে আরব আমিরাত সফরের হতাশা কাটিয়ে তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারে। ফর্মে থাকা পাকিস্তানের বিপক্ষে এই সিরিজ তাই শুধুই একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং আত্মবিশ্বাস ফেরানোর মঞ্চ।

বাংলাদেশ দলের জন্য এখন একটাই লক্ষ্য, গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে নিজেদের সেরাটা দেওয়া এবং সমর্থকদের মুখে হাসি ফেরা।

RELATED NEWS

Latest News