Tuesday, September 16, 2025
Homeআন্তর্জাতিকমিয়ানমারে সেনা সরকারের নির্বাচনের সীমিততা: ১৫ শতাংশ আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে না

মিয়ানমারে সেনা সরকারের নির্বাচনের সীমিততা: ১৫ শতাংশ আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে না

সেনারা নির্বাচনের নিরাপত্তা ও বিদ্রোহী শক্তির কারণে কয়েকটি আসনে ভোট স্থগিত ঘোষণা করেছে

মিয়ানমারের সেনা সরকার সোমবার স্বীকার করেছে, দেশের জাতীয় সংসদের প্রায় এক-সপ্তাংশ আসনে নির্বাচনের আয়োজন করা হবে না। এ ঘোষণা আসে এমন সময়, যখন দেশটিতে বিদ্রোহী গোষ্ঠী এবং বিভিন্ন প্রতিরোধকারী শক্তি ভোটপ্রক্রিয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

২০১১ সালে সেনারা ক্ষমতা দখল করার পর থেকে দেশটি সামরিক সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা নির্বাচনকে দেশ পুনর্মিলনের একটি উপায় হিসেবে তুলে ধরলেও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা এটিকে চলমান সামরিক শাসনকে বৈধতা দেওয়ার কৌশল হিসেবে দেখছেন।

মিয়ানমারের ইউনিয়ন নির্বাচন কমিশনের(state media) প্রকাশিত নোটিশে বলা হয়েছে, নিম্নকক্ষে ৫৬টি ও উচ্চকক্ষে ৯টি আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে না। নোটিশে স্পষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি, তবে বলা হয়েছে, “এই আসনগুলোতে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের সুযোগ নেই।”

এই এলাকায় অধিকাংশই বিদ্রোহী দখলে থাকা অঞ্চল, যেমন মোগক রুবি খনি কেন্দ্র, পশ্চিম রাখাইন রাজ্যের বেশিরভাগ এলাকা এবং এমন অনেক অঞ্চল যেখানে সামরিক বাহিনী বিমান হামলা চালাচ্ছে।

মোট ৪৪০টি আসনের মধ্যে ৬৫টি বাতিল করা হয়েছে, যা মোট আসনের প্রায় ১৫ শতাংশ। যদিও সেনারা কিছু এলাকায় আবার নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করেছে, তবে নির্বাচনের গাণিতিক প্রস্তুতি ও নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ পুরো নির্বাচনের পরিসর সীমিত করছে।

গত বছর নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পরিচালিত আদমশুমারিতে দেখা গেছে, দেশটির ৫১ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে ১৯ মিলিয়নের তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। প্রধান কারণ হিসেবে “গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা সীমাবদ্ধতা” উল্লেখ করা হয়েছে।

নিরীক্ষকরা মনে করছেন, এই নির্বাচন সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠিত হবে এবং বিদ্রোহী ও বহিস্কৃত আইনপ্রণেতাদের দ্বারা ব্যাপক বয়কট হবে।

RELATED NEWS

Latest News