লাহোর, ২৬ মে, ২০২৫ (ডেপ্রবা) : ইংল্যান্ড থেকে উড়ে এসে মাত্র ১০ মিনিট আগে মাঠে ঢুকে যে খেলোয়াড় ম্যাচের ভাগ্য ঘুরিয়ে দিলেন, তিনি আর কেউ নন, সিকান্দার রাজা। লাহোর কালান্দার্সের জয়ের অন্যতম কারিগর হিসেবে তাকে নিয়ে ওয়াসিম আকরাম কমেন্টারিতে প্রশংসায় ভাসান। তবে পুরো ম্যাচে গেম চেঞ্জিং মুহূর্ত এসেছিল আরও আগে।
মোহাম্মদ আমিরের একটি দুর্দান্ত ইয়র্কার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু কুশাল পেরেরা পেছনে দাঁড়িয়ে ক্রিজের ডেপথ ব্যবহার করে বলটিকে লো ফুলটাসে রূপান্তর করে এক্সট্রা কাভার দিয়ে চার মারেন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই একটি শটই পুরো ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে কুশালের উপস্থিত বুদ্ধি ছিল প্রশংসনীয়। ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি যেভাবে বোলারের পরিকল্পনা ভেঙে দেন, তা যেকোনো তরুণ ক্রিকেটারের জন্য এক বড় শিক্ষা। বারবার ইয়র্কার বল করলেও পেরেরা বলগুলোকে দক্ষভাবে মোকাবিলা করেছেন। এর ফলে আমিরের পরবর্তী বলগুলো আর ঠিকঠাক ইয়র্কার হয়নি এবং একপর্যায়ে ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যায়।
পরবর্তীতে সিকান্দার রাজাও ক্রিজের ডেপথ ব্যবহার করে বোলারদের ইয়র্কারকে ফুলটাসে পরিণত করে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। তার উপস্থিত বুদ্ধিও ছিল যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সেইসঙ্গে ফাহিম আশরাফ একাধিক ইয়র্কার চেষ্টা করেও সফল হননি, কারণ ব্যাটসম্যানরা সঠিকভাবে বল মোকাবিলা করছিলেন।
এই ম্যাচে তরুণ স্পিনার রিশাদ হোসেন কিছুটা খরুচে হলেও তার শেখার অভিজ্ঞতা ছিল মূল্যবান। বিশেষ করে এমন উইকেটে বল করতে গিয়ে আন্তর্জাতিক ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর চ্যাম্পিয়ন দলে খেলার অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতের জন্য বড় সম্পদ হয়ে থাকবে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, রিশাদ এর আগে রংপুর রাইডার্স, গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি কানাডা ও বিগ ব্যাশ লিগে খেলার অফার পেয়েছিলেন এবং তার দলগুলো প্রায় সবসময়ই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এমন ধারাবাহিকভাবে চ্যাম্পিয়ন দলে থাকা যে কোনো দলের জন্যই তাকে ‘লাকি’ মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
ম্যাচ শেষে ক্রিকেট বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ম্যাচটি কেবল একটি ট্রফি জেতার বিষয় নয়, বরং এটা তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য এক শিক্ষা। প্রেজেন্স অফ মাইন্ড কিভাবে একটা ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে, তা এই ফাইনালে স্পষ্ট হয়ে গেছে।
