তিউনিসিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে ভিড়ানো গাজা সহায়তা বহরে আগুন লাগার ঘটনাটি একটি “পূর্বপরিকল্পিত আক্রমণ” হতে পারে। মঙ্গলবার রাতে দ্বিতীয়বারের মতো সন্দেহজনক ড্রোন হামলার অভিযোগ ওঠে।
গাজামুখী সহায়তা বহরের আয়োজকেরা জানান, ব্রিটিশ পতাকাবাহী নৌকা ‘আলমা’ তিউনিসিয়ার পানিসীমায় অবস্থানকালে এর উপরের ডেকে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। নৌকাটি তখন তিউনিসিয়ার নিরাপত্তা জাহাজ দ্বারা পরিবেষ্টিত ছিল।
জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রান্সেসকা আলবানিজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করে দাবি করেন, এটি ড্রোন হামলার প্রমাণ বহন করছে। তার ভাষায়, আলোহীন একটি ড্রোন থেকে ফেলা বস্তুই আগুন লাগার কারণ।
এর আগের দিনও বহরের আরেকটি নৌকায় একই ধরনের হামলার অভিযোগ করা হয়েছিল। তবে তিউনিসিয়ার জাতীয় গার্ডের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, কোনো ড্রোন শনাক্ত হয়নি এবং আগুনের কারণ হতে পারে সিগারেট।
বহরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “ইসরায়েলি আগ্রাসন চলাকালে এই হামলা আমাদের মিশন ভেস্তে দেওয়ার একটি প্রচেষ্টা হতে পারে।” যদিও সরাসরি ইসরায়েলের নাম উল্লেখ করা হয়নি এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনীও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
আবহাওয়ার কারণে যাত্রা বিলম্বিত হলেও আয়োজকেরা আশা করছেন বৃহস্পতিবার সকালে গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা পুনরায় শুরু করা যাবে।
‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নামের এই বহর নিজেকে স্বাধীন উদ্যোগ হিসেবে বর্ণনা করে। এতে অংশ নিয়েছেন পরিবেশকর্মী গ্রেটা থানবার্গসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী।
জাতিসংঘ সম্প্রতি সতর্ক করেছে, গাজার অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ “চরম বিপর্যয়কর” খাদ্য সংকটে রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে সহায়তা বহরটি অবরুদ্ধ গাজার মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।