ডাকসু নির্বাচনের আগের রাতে ছাত্রদল মনোনীত ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছে।
সোমবার মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। আবিদ দাবি করেন, ছাত্রদল মনোনীত প্রার্থীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সাইবার হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে যাতে তাদের প্রচার কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
তিনি বলেন, “আমি কখনো কারও সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করিনি। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে আমাদের ডিজিটাল উপস্থিতিকে টার্গেট করা হয়েছে।”
আবিদ জানান, সোমবার সকালে মাত্র ৫৭ মিনিটের মধ্যে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দুইবার স্থগিত হয়। যদিও তিনি প্রমাণ দেখিয়ে পুনরায় প্রবেশাধিকার ফিরে পান।
“৫ আগস্ট থেকে আমি সুস্থ রাজনীতিতে থাকার চেষ্টা করছি এবং অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছি। আমি কখনো অন্যায়ের সঙ্গে আপস করিনি,” তিনি যোগ করেন।
ছাত্রদল মনোনীত অন্যান্য প্রার্থীরাও একই অভিযোগ করেছেন। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী শেখ তানভীর বারি হামিম এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী তানভীর আল হাদি মায়েদ জানান, তাদের অ্যাকাউন্টও সাময়িকভাবে স্থগিত হয়েছিল। পরে পুনরুদ্ধার করা গেলেও তারা একে নির্বাচনী হস্তক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
হামিম বলেন, “যারা ভয় এবং হতাশা থেকে সাইবার আক্রমণ চালাচ্ছে, শিক্ষার্থীরা তাদের জবাব ভোটের মাধ্যমে দেবে।”
আবিদ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে হবে। তিনি বলেন, “সত্যের জয় হবেই। যারা মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, শিক্ষার্থীরা তাদের জবাব ভোটের মাধ্যমে দেবে।”
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। প্রার্থীদের মতে, এই ধরনের ডিজিটাল বিঘ্নতা তাদের প্রচারণা ও ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর প্রক্রিয়ায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, ঘটনাটি শিক্ষার্থী রাজনীতিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের স্বচ্ছতা নিয়ে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।