ড্যানি বয়েলের পরিচালনায় নির্মিত ‘28 Years Later’ মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই বিশ্বজুড়ে আয় করেছে ৬০ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজার উভয় স্থান থেকেই ৩০ মিলিয়ন ডলার করে এসেছে। এই ফলাফল পূর্বাভাসকৃত আয়কে অতিক্রম করেছে।
৫৯টি বিদেশি বাজারে মুক্তি পাওয়া ছবিটি অন্যান্য জনপ্রিয় হরর ফিল্মের তুলনায় বেশি সাড়া ফেলেছে। যুক্তরাজ্যে ছবিটি শীর্ষ অবস্থানে থেকে ৬.৪ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। এরপর রয়েছে মেক্সিকো (২.৭ মিলিয়ন), মধ্যপ্রাচ্য (১.৮ মিলিয়ন), অস্ট্রেলিয়া (১.৭ মিলিয়ন), কোরিয়া (১.৫ মিলিয়ন), জার্মানি এবং ফ্রান্স (১.৩ মিলিয়ন করে) এবং স্পেন (১.২ মিলিয়ন)।
অন্যদিকে ডিজনি-পিক্সারের ‘এলিও’ প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। ছবিটি মাত্র ৩৫ মিলিয়ন ডলার দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে, যার মধ্যে ১৪ মিলিয়ন এসেছে ৪৩টি আন্তর্জাতিক বাজার থেকে। কোরিয়ায় ছবিটি প্রথম স্থান দখল করলেও অন্যান্য দেশ যেমন মেক্সিকো, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং ইতালিতে এর আয় তুলনামূলকভাবে কম।
ডিজনি আশা করছে ছুটির মৌসুমে এবং নতুন অ্যানিমেটেড প্রতিদ্বন্দ্বীর অভাবে ছবিটি ধীরে ধীরে আরও আয় বাড়াবে।
ইতিমধ্যে ইউনিভার্সালের ‘হাউ টু ট্রেইন ইয়োর ড্রাগন’ বিশ্বজুড়ে ৩৫৮.২ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। কেবল আন্তর্জাতিক বাজার থেকেই এসেছে ১৯৭.৭ মিলিয়ন ডলার। দ্বিতীয় সপ্তাহেও ছবিটি বেশিরভাগ বাজারে শীর্ষে রয়েছে।
প্রধান পাঁচটি বাজারে ছবিটির আয় যথাক্রমে মেক্সিকো (২৪.৫ মিলিয়ন), চীন (২৩.২ মিলিয়ন), যুক্তরাজ্য (১৬.৮ মিলিয়ন), ব্রাজিল (১২.৬ মিলিয়ন) এবং কোরিয়া (৯.৬ মিলিয়ন)।
অন্যদিকে, ডিজনির ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’ এখন পর্যন্ত ৯১০.৩ মিলিয়ন ডলারের বিশ্বব্যাপী আয় করেছে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে এসেছে ৫২৩.৬ মিলিয়ন ডলার।
এছাড়া প্যারামাউন্ট-স্কাইড্যান্সের ‘মিশন: ইম্পসিবল – দ্য ফাইনাল রেকনিং’ এর বৈশ্বিক আয় পৌঁছেছে ৫৪০.৯ মিলিয়নে।
এদিকে ভারতীয় অভিনেতা আমির খানের নতুন ছবি ‘সিতারে জমিন পার’ দেশীয় বাজারে ৮ মিলিয়ন এবং বৈশ্বিকভাবে ১১.৫ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে বলে জানা গেছে।
সব মিলিয়ে বিশ্ব বক্স অফিসে এই সপ্তাহটি ছিল ভিন্নধর্মী নানা ঘরানার চলচ্চিত্রে সমৃদ্ধ, যার মধ্যে রয়েছে হরর, অ্যানিমেশন, থ্রিলার ও পারিবারিক ড্রামা।