ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ঢল, দুর্ঘটনা এবং যানবাহন বিকলের কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে দেখা দিয়েছে ২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট। বুধবার রাত থেকেই এই যানজট শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়, যমুনা সেতু টোল প্লাজা থেকে শুরু হয়ে টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস পর্যন্ত এর বিস্তৃতি।
চোখে পড়ার মতো এই পরিস্থিতির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন শত শত যাত্রী। যানজটে আটকে পড়েছে শিশু, বৃদ্ধ, নারীসহ সব বয়সের মানুষ। যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক গরুবোঝাই ট্রাকও থেমে গেছে এই দীর্ঘ লাইনে।
পাকুল্লা থেকে টাঙ্গাইলগামী লেনেই মূলত যানজট শুরু হয়। স্থানীয়রা জানান, রাত থেকেই ধাপে ধাপে যানবাহনের গতি কমতে থাকে এবং কিছুক্ষণ পর থেমে যায়। রাবনা বাইপাস থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত অংশে গাড়ির চলাচল ছিল প্রায় সম্পূর্ণ বন্ধ।
এলেঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শরীফ বলেন, “যানজটের মূল উৎস যমুনা সেতুর টোল প্লাজা এলাকায়। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে পেছনের দিকে জট তৈরি হয়।”
যদিও সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে যানজট নিরসনে মাঠে নামে এবং সকাল নাগাদ পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
ঈদ উপলক্ষে উত্তরবঙ্গমুখী যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ এই সড়কে ব্যাপক হারে বেড়েছে। গত বছরগুলোর অভিজ্ঞতাও বলছে, এই মহাসড়কটি ঈদের আগে-পরে দীর্ঘ যানজটের শিকার হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
হাইওয়ে পুলিশ যাত্রীদের উদ্দেশে ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানিয়ে বলেছে, যানজট কমাতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে দুর্ঘটনাকবলিত যান দ্রুত সরিয়ে ফেলা ও গরু বোঝাই ট্রাকগুলোকে আলাদা লেনে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
অবশেষে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টায় যান চলাচল ধীরে ধীরে সচল হতে শুরু করে। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।