পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে টানা ১০ দিনের ছুটি। যদিও ছুটি আনুষ্ঠানিকভাবে বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে, রাজধানী ছাড়ার ভিড় শুরু হয়েছে আগের শনিবার থেকেই। বুধবার থেকে গাবতলী বাসস্ট্যান্ড, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ও কমলাপুর রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন পরিবহন কেন্দ্রে যাত্রীদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
বুধবার কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, হাজারো মানুষ রাজধানী ছাড়ছেন। অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে চড়েও বাড়ি ফিরছেন ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ৭ মে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ১১ ও ১২ জুন (বুধবার ও বৃহস্পতিবার) নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করে। এই ছুটির জন্য ১৭ ও ২৪ মে সরকার অফিস খোলা রেখেছিল।
সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যাংক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ছুটির এই সময়ে বন্ধ থাকবে। সপ্তাহান্ত এবং নির্ধারিত ছুটি মিলিয়ে এ বছর ঈদের ছুটি দীর্ঘ হয়েছে।
দীর্ঘ ছুটি ও ঈদের উৎসব উপলক্ষে রাজধানীর পরিবহন টার্মিনালগুলোতে ঘরমুখো মানুষের চাপ সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাইওয়ে, রেলস্টেশন, নৌবন্দর এবং শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
ঈদের কোরবানির পশুর বর্জ্য দ্রুত অপসারণে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলো বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে।
বুধবার রাজধানীর উত্তর শাহজাহানপুরে মৈত্রী সংঘ ক্লাব সংলগ্ন কোরবানির হাট পরিদর্শনে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “সব কোরবানির হাটে এ বছর বিপুল সংখ্যক আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “যদি কোনো পরিবহন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে বা ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী গত রোববার জানান, রাজধানীর অস্থায়ী কোরবানির হাটে লিজধারীরা সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়া অন্য কোনো ফি নিতে পারবে না। এছাড়া কোরবানির পশুবাহী গাড়ি জোরপূর্বক নির্দিষ্ট হাটে প্রবেশ করানো যাবে না এবং হাটগুলো নির্ধারিত সীমারেখার মধ্যে রাখতে হবে।