ডেইলি প্রতিদিনের বাণী রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২১ মে ২০২৫, ১৩:৫১
কূটনৈতিক প্রতিবেদক
মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন মানবিক খাতে সমর্থন অব্যাহত রাখতে নরওয়ের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (২০ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নরওয়ে সরকারের আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক স্টেট সেক্রেটারি স্টিন রেনাতে হোহেইম তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় ড. ইউনূস রোহিঙ্গা সংকটের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেন এবং তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, “রোহিঙ্গারা বাস্তব মানুষ, যাদের স্বপ্ন ও ভবিষ্যৎ আছে। তারা ক্যাম্পেই বড় হচ্ছে। প্রতিদিন জন্ম নিচ্ছে নতুন শিশু, যারা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে রয়েছে। আমরা যেন তাদের ভুলে না যাই।”
হোহেইম বাংলাদেশের ভূমিকাকে মানবিক সংকটে নেতৃত্বদানের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “আমরা এই সংকটে বাংলাদেশের অবদানকে গভীরভাবে স্বীকার করি এবং সম্পর্ককে আরও বিস্তৃত ও গতিশীল করতে চাই।”
সাক্ষাতে তিনি নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার স্টোরের পক্ষ থেকে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানান এবং বলেন, “আপনি নরওয়েতে সুপরিচিত। প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই আপনাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “নরওয়ে আমাদের সংকটের সময় সবসময় পাশে থেকেছে। উন্নয়ন অভিযাত্রায় আপনাদের অবদান অনস্বীকার্য।”
বৈঠকে দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা নিয়েও আলোচনা হয়। ড. ইউনূস বলেন, “জুলাইয়ের গণবিপ্লবে প্রাণহানির পাশাপাশি অর্থনীতিতে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। পূর্ববর্তী সরকারের সময়ে প্রতিবছর প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে।”
তবে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, “বিশ্বে বাংলাদেশের প্রতি আস্থা বাড়ছে। বিডা সামিটে বিশ্বের শীর্ষ কোম্পানিগুলো আমাদের বাস্তবতা দেখতে এসেছে, এর মধ্যে কিছু নরওয়েও ছিল।”
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মো. মোশারফ হোসেন।
সাক্ষাত শেষে উভয়পক্ষ দ্বিপাক্ষিক অংশীদারত্ব আরও জোরদারে সম্মত হয় এবং ভবিষ্যতে যৌথভাবে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করে।